ঘুঁষি মেরে ইতিহাস লিখলো ইরান -পারস্যের আত্মমর্যাদারআগুনে জ্বলছে মধ্যপ্রাচ্য
প্রতিবেদন:
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন দৃশ্যপট আর কেউ দেখেনি—কেউ সাহস করেনি আমেরিকার মতো পরাশক্তির দিকে চোখ তুলে তাকাতে। কিন্তু ইরান সেটা করলো না শুধু, সরাসরি ঘুঁষি মেরে দিলো বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক শক্তিকে।
সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির এক ঘোষণায় যেন পুরো মধ্যপ্রাচ্য কেঁপে উঠলো—"মরলে মরবো, কিন্তু সম্মানে একচুল ছাড় না!" এই ঘোষণা ছিল কেবল কৌশলগত কোনো সামরিক সিদ্ধান্ত নয়, বরং জাতিগত আত্মমর্যাদার উচ্চারণ।বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা কোনো প্রচলিত যুদ্ধ নয়। এটা এক জাতির বুকে জমে থাকা শতাব্দীর ক্ষোভ, অপমান, এবং আত্মবিশ্বাসের বিস্ফোরণ। যখন ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটির ওপর হামলার সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা ছিল আত্মত্যাগের ডাক—যেখানে খামেনি নিজের জীবন নয়, গোটা জাতির ইতিহাসকে বাজি রেখেছেন।
"চলো, মরতে মরতে বেঁচে যাই!"—এই ভাষ্য ইরানিদের চেতনায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। তারা মনে করে, পারস্যের ইতিহাসে ‘পরাজয়’ নামক কোনো শব্দ কখনও ছিল না, ভবিষ্যতেও থাকবে না।খামেনির এই সিদ্ধান্তে কতোজন মরলো, কতো ঘাঁটি উড়লো, সেটা বড় কথা না—বড় কথা হলো তিনি ইতিহাসের এক ভয়ংকর ট্যাবু ভেঙে ফেলেছেন। আমেরিকার ‘অপরাজেয় ভাবমূর্তি’ আজ প্রশ্নের মুখে।এই সাহস, এই আত্মত্যাগ, এই জাতিগত গর্ব—এটাই আজকের ইরান।এটা যুদ্ধ নয়, এটা এক জাতির আত্মমর্যাদার বিজয়মিছিল।
শেষ কথা:
বিশ্ব রাজনীতির দৃশ্যপট বদলে দিতে পারে এই চ্যালেঞ্জ।
ইরান বলছে—“আমরা মুসলমান, আমরা পারস্য। আমরা কারো গোলাম না।”
আর ইতিহাস দেখছে—আবার একটি জাতি উঠে দাঁড়িয়েছে বুক চিতিয়ে।
Post a Comment